ইটিং ডিজঅর্ডার বা খাদ্যাভ্যাস বিকার কি?
ইটিং ডিজঅর্ডার বা খাদ্যাভ্যাস বিকার অনিয়মিত খাওয়ার অভ্যাসের থেকে হয় যার অন্তর্গত হলো বেশী খাওয়া বা কম খাওয়া। রোগীর মধ্যে ধীরে ধীরে এই অভ্যাস বাড়ে এবং সেইজন্য সবচাইতে ভালো ঠিক সময়ে এটা লক্ষ করা।
এর প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলো কি কি?
এটা দেখা গেছে যে ইটিং ডিজঅর্ডার বা খাদ্যাভ্যাস বিকার প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পরলে খুব ভালো হয় সময়মত চিকিৎসার। সেইজন্য একজন অবশ্যই ইটিং ডিজঅর্ডার বা খাদ্যাভ্যাস বিকারের সাধারন লক্ষণ ও উপসর্গগুলো লক্ষ রাখবে।
- অ্যানোরেক্সিয়া, লোকের কম খাওয়া যারা খুব কম পরিমান খাবার খায়।
- দূর্বলতা এবং ইমাসিয়েশন।
- দুশ্চিন্তা।
- সামাজিক মেলামেশা না করা বা একা থাকা।
- বুলিমিয়া, যেখানে রোগী ঘনঘন প্রচুর পরিমান খাবার খায়।
- অনিয়ন্ত্রিত মদ্যপান, যেখানে রোগী একটা নির্দিষ্ট সময় পর প্রচুর পরিমান খাবার খায়।
- খিদে না পেলেও খাওয়া।
- কম আত্মমর্যাদা।
- মেজাজ পরিবর্তন।
- হঠাৎই শরীরের ওজন এবং আকারের উপর নজর দেওয়া।
- হঠাৎ এবং পরিস্কার পরিবর্তন শরীরের ওজনে।
এর প্রধান কারনগুলো কি কি?
ইটিং ডিজঅর্ডার বা খাদ্যাভ্যাস বিকার নানা কারনে হতে পারে। যাইহোক, কিছু সাধারন কারন নীচে বলা হলো:
- সাইকোলজিকাল কারণ যার অন্তর্গত হলো মানসিক চাপ, কম আত্মমর্যাদা ও খারাপ শরীরের ছবি।
- বায়োলজিকাল কারন যার অন্তর্গত পুষ্টির অভাব, জেনেটিক মেকাপ, হরমোনের পরিবর্তন বা অন্যান্য মেডিকেল কারন।
- ব্যক্তিগত কারন যেমন অতীতের কোনো ঘটনা যেটা রোগীর আতঙ্কের কারন বা রোগীকে বিরক্ত করে।
- হঠাৎই সাংস্কৃতিক পরিবর্তন।
- পেশাদার দরকারও কখনও জোর করে আসে কোনো কোনো খাদ্যাভাসে।
এটি কিভাবে নির্ণয় ও চিকিৎসা করা হয়?
যদি আপনি উপরোক্ত কিছু লক্ষণ বা উপসর্গগুলো লক্ষ করেন, তাহলে এটা একটা ইঙ্গিত চিকিৎসককে দেখানোর। আপনার উপসর্গের, খাদ্যাভাসের, এবং আপনার রোজের জীবনযাপন সম্বন্ধিত প্রশ্নের উপর নির্ভর করে, চিকিৎসক নির্ণয় করেন যে আপনার ইটিং ডিজঅর্ডার বা খাদ্যাভ্যাস বিকার আছে কিনা।
- সনাক্তকরণের সময়, তিনি আপনাকে শারীরিক পরীক্ষা করবেন এবং যদি দরকার পরে তাহলে উনি ল্যাবোরেটরিতে কিছু পরীক্ষা করাতে পারেন আপনার শারীরিক অবস্থার মূল্যায়ণ করেন ও একজনের মধ্যে কতটা পৌষ্টিক অভাব সেটা ঠিক করেন।
- চিকিৎসক সাইকোলজিকাল তদন্ত চালান সঠিক সনাক্তকরণের জন্য।
ইটিং ডিজঅর্ডার বা খাদ্যাভ্যাস বিকারের চিকিৎসার নানান দিক আছে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ও স্বাস্থকর জীবনযাপন করা। যাইহোক ইটিং ডিজঅর্ডার বা খাদ্যাভ্যাস বিকারের কিছু সাধারন চিকিৎসা নিচে উল্লেখ করা হলো।
- মেডিটেশন।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া।
- কগ্নিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপী যেখানে আপনার মেজাজের পরিবর্ত ও খাদ্যাভ্যাসের উপর লক্ষ রাখা হয় এবং নিশ্চিত করা হয় আপনি মেজাজের পরিবর্তনের সাথে মেল রেখে খাবার খাবেন না।
- যদিও ইটিং ডিজঅর্ডার বা খাদ্যাভ্যাস বিকারের কোনো ওষুধ নেই, যাইহোক আপনাকে অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্টস এবং অ্যান্টি-অ্যান্জাইটি ওষুধ দেওয়া হতে পারে আপনার অসময়ে খাবার ইচ্ছা কম করার জন্য।
- পুষ্টিকর কোনো সম্পূরক দিতে পারেন অপৌষ্টিকতা কম করার জন্য।