অস্টিওপেনিয়া কি?
অস্টিওপেনিয়া এমন একটি অবস্থা যেখানে হাড়ের ঘনত্ব কম হয়, যার ফলে হাড় স্বাভাবিকের তুলনায় দুর্বল হয়। অস্টিওপেনিয়া অস্টিওপরোসিসের বৃদ্ধি করে এবং হাড় ভাঙ্গার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
এর প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি কি?
সাধারণত, অস্টিওপেনিয়া উপসর্গহীন এবং এটি একমাত্র পরিলক্ষিত হয় একজন ব্যক্তির নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই হাড় ভেঙ্গে গেলে বা সামান্য পড়ে যাওয়ার কারণে হাড় ভেঙ্গে গেলে। এটি অন্যান্য হাড় ভাঙ্গার ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয় এবং এটিকে অস্টিওপরোসিসের সতর্কবার্তা হিসেবে গ্রহণ করা উচিত।
এর প্রধান কারণগুলি কি কি?
এই অবস্থার কারণ বহুমুখী এবং হাড়ের শক্তি প্রভাবিত অবস্থার উপর নির্ভর করে, যা ব্যক্তি বিশেষে আলাদা হয়। এই অবস্থার সাথে যুক্ত প্রধান কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- হাড়ের স্বাস্থ্যের খারাপ/কমজোর পারিবারিক ইতিহাস।
- বিভিন্ন চিকিৎসাবিষয়ক অবস্থা যেমন কোলিয়াক রোগে বিভিন্ন ব্যক্তির গ্লুটেন বা গম থেকে অ্যালার্জি থাকে যার কারণে খাদ্য থেকে খারাপ ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন ডি শোষণ করে।
- বিভিন্ন ওষুধ যেমন স্টেরয়েড যার মধ্যে রয়েছে গ্লুকোকর্টিকইড (দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের সাথে)।
- স্থূলতা।
- তরুণ মহিলা ক্রীড়াবিদ।
- খারাপ খাদ্যাভ্যাস।
- বার্ধক্য (বিশেষত পরবর্তী মেনপোজ (ঋতুজরা/রজোবন্ধ)।
- যে কোন কারণে ক্যালসিয়াম, এবং ভিটামিন ডি এর ঘাটতি।
- কসরতের অভাব বা নিষ্ক্রিয়তা।
এটি কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?
চিকিৎসক উপসর্গের সম্পূর্ণ ইতিহাসের পাশাপাশি পরিবারের এবং ডাক্তারি ইতিহাস অনুসরণের দ্বারা আক্রান্ত এলাকার পরীক্ষা করবেন। যদি চিকিৎসক আপনার দুর্বল হাড়ের স্বাস্থ্য বা অস্টিওপেনিয়ার বিষয়ে সন্দেহসূচক কিছু দেখেন তবে তিনি আরও অনুসন্ধান করতে কিছু পরামর্শ দেবেন:
- হাড়ের ঘনত্ব পরীক্ষা এবং প্রথম পরীক্ষার দুই থেকে পাঁচ বছর পর সাধারণত পুনরায় পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়।
- হাড় ভাঙ্গার ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত অংশের এক্স-রে।
- দ্বৈত-শক্তি এক্স-রে এবসর্পটিয়োমেট্রি (ডিইএক্সএ বা ডিএক্সএ) স্ক্যান।
অস্টিওপেনিয়ার চিকিৎসা:
- অস্টিওপেনিয়া অস্টিওপোরোসিসের মতো গুরুতর নয় এবং এই কারণে বেশি ওষুধের প্রয়োজন হয় না। অস্টিওপেনিয়ার চিকিৎসায় হাড়কে রক্ষা করা এবং হাড়ের শক্তি বৃদ্ধিতে লক্ষ্য রাখা হয়।
- অস্টিওপেনিয়া রোগ নির্ণয়কারী ব্যক্তির ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর সম্পূরকের প্রয়োজন হয়।
- খাদ্যতালিকার সামান্য পরিবর্তন করে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার এবং দুধ এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার যেমন দই, চিজ দেওয়া হয়, এছাড়াও শাকসব্জি যেমন পালং এবং ব্রোকলি, মাছ যেমন স্যালমন, যে কোন খাদ্যশস্য, রুটি এবং কমলালেবুর রস যুক্ত করা হয়।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন ব্যায়াম এবং ওজন পরিচালনা করা।
- হাড়ের-অনুকূল জীবনযাত্রা গ্রহণ।
- ধূমপান এবং মদ্যপান এড়িয়ে চলা।