পেনাইল ইস্ট ইনফেকশন কি?
ইস্ট এক ধরণের ছত্রাক যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে বাস করে যেমন ডাইজেস্টিভ ট্র্যাক, মুখে, চামড়াতে এবং জেনিটালসে। লিঙ্গে যখন সাধারণ কমেনসাল ইস্টের অতিবৃদ্ধি হয় তখন পিনাইল ইস্ট সংক্রমণ ঘটে। এই সংক্রমণকে ক্যান্ডিডিয়াসিস বলে, কারণ ক্যানডিডা আলবিকান্স নামক এক জীব এই সংক্রমণটি ঘটায়। ক্যানডিডা সংক্রমণ যে পুরুষদের সুন্নত করা হয়েছে তাদের থেকে যে পুরুষদের সুন্নত করা হয়নি তাদের মধ্যে বেশি দেখা যায় কারণ লিঙ্গত্বকের নিচের ঘাম এবং উষ্ণতা ইস্টের বৃদ্ধিকে সহজ করে তোলে। ৪০ বছর এবং তার বেশি বয়সী পুরুষদের মধ্যে ক্যানডিডা হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।
এই রোগের প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি?
পিনাইল ইস্ট সংক্রমণের ফলে লিঙ্গের নিচের অংশে নিম্নলিখিত উপস্বর্গগুলি দেখা যায়, যেমন:
- বেদনাদায়ক ফুসকুড়ি।
- স্কেলিং বা খসখসে চামড়া।
- লালভাব।
লিঙ্গের মাথায় চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি হলো সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গ যা পুরুষরা অনুভব করে।
এই রোগের প্রধান কারণ কি?
নিম্নলিখিত কারণগুলির জন্যই ইস্টের অতিবৃদ্ধি হয় এবং সেই কারণেই পিনাইল ইস্ট সংক্রমণ ঘটে, যেমন:
- আর্দ্র বা উষ্ণ অবস্থা।
- একটি দুর্বল ইমিউন সিস্টেম।
- অ্যান্টিবায়োটিকস( কারণ তারা সুস্থ ব্যাকটেরিয়াকে মারতে পারে , যা ইস্টের বৃদ্ধিকে দমন করতে সাহায্য করে)।
- যেসব ব্যক্তির এইচআইভি সংক্রমণ এবং ডায়াবেটিস এর মতন রোগ আছে , তাদের মধ্যে ইস্ট সংক্রমণের বিকাশের সম্ভাবনা বেশি।
- সুগন্ধযুক্ত সাবান বা শাওয়ার জেল ব্যবহার করলে, ত্বকে চুলকানি হতে পারে এবং ক্যান্ডিডার সংখ্যাবৃদ্ধির ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে।
- একজন মহিলা, যার যোনিতে ইস্ট সংক্রমণ রয়েছে তার সঙ্গে অসুরক্ষিত যৌনমিলন।
এই রোগের নির্ণয় এবং চিকিৎসা কিভাবে হয়?
আপনার চিকিৎসক নিম্নলিখিত পদ্ধতির মাধ্যমে পিনাইল ইস্ট সংক্রমণের নির্ণয় করবেন:
- আপনার চিকিৎসার ইতিহাস এবং উপসর্গগুলি নোট করবেন।
- একটি শারীরিক পরীক্ষা করবেন।
- লিঙ্গের স্ক্র্যাপিংয়ের (তরল বা টিস্যুর নমুনা) পরীক্ষা।
পিনাইল ইস্ট সংক্রমণের জন্য উপলব্ধ চিকিৎসা পদ্ধতিগুলি নিচে দেওয়া হলো:
- অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ক্রিম বা লোশন।
- ওষুধযুক্ত সাপোজিটরিস।
- যেসব ব্যক্তি দুর্বল ইমিউনিটির কারণে সংক্রমণের দ্বারা আক্রান্ত হয় তাদের জন্য মৌখিক অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ওষুধ।
এই ওষুধগুলির বেশিরভাগই ওষুধের দোকানে পাওয়া যায়, যা প্রেসক্রিপশন ছাড়াই কিনতে পারা যাবে।
এই সব ওষুধগুলি ব্যবহার করার পরেও যদি সংক্রমণ থেকে যায়, তাহলে আপনার ডাক্তার অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ দীর্ঘসময় ধরে ব্যবহার করার পরামর্শ দিতে পারেন।