স্কারলেট ফিভার কাকে বলে?
স্কারলেট ফিভার হলো একটা সংক্রমণ যা স্ট্রেপ্টকক্কি নামক ব্যাক্টেরিয়ার কারণে হয়। একজন ব্যক্তির মধ্যে এই অবস্থার উপসর্গগুলি বাড়তে 2-5 দিন সময় লাগে। এটি এক রকমের সংক্রামক রোগ যা সাধারণত বাচ্চাদের মধ্যে দেখা যায় এবং এটা শুরু হয় গলা ব্যথা দিয়ে। যদিও, প্রাপ্ত বয়স্করা এই ব্যাক্টেরিয়ার প্রধান বাহক হতে পারে। এই অবস্থার অন্যান্য উপসর্গগুলি হলো জ্বর, বমি, গায়ে কাটা দেওয়া এবং পেটে ব্যথা, এরসঙ্গে বাচ্চাদের জিভের উপর সাদা আস্তরণ পড়ে যেতে পারে। এই ব্যাক্টেরিয়ামের কারণে টনসিল হতে পারে, ত্বকে সংক্রমণ, এবং তীব্র বাতজ্বর (রিউমেটিক ফিভার)ও হতে পারে।
এটির প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি?
এই অবস্থার লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি হলো:
- গলা ব্যথা।
- জ্বর।
- টনসিল লাল হয়ে ফুলে যাওয়া।
- ফোলা বা স্ট্রবেরী (লাল এবং উঁচু-নীচু) জিভ।
- বমি বমি ভাব।
- বমি।
- খিদে কমে যাওয়া।
- এক ধরণের সুক্ষ লাল ফুসকুরি, সানবার্নের মত সারা শরীরে হয় এবং এর থেকেই এই রোগের নাম হয়-স্কারলেট ফিভার।
মারাত্মক ক্ষেত্রে, এই অবস্থা থেকে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে যেমন:
- টনসিলের চারপাশে পূঁযভর্তি পকেট।
- লিম্ফ নোড ফুলে যায়।
- ত্বকে বা কানে সংক্রমণ।
- বাতজ্বর বা রিউমেটিক ফিভার।
- নিউমোনিয়া।
- গাঁটে প্রদাহ বা আর্থরাইটিস।
এর প্রধান কারণ কি?
এই সংক্রমণ নিচে উল্লেখ করা জিনিষের মধ্যমে প্রেরিত হয়:
- শ্বাসের জলবিন্দু যার মধ্যে সংক্রামিত ব্যক্তিদের হাঁচি বা কাশি থেকে আসা ব্যাকটেরিয়া রয়েছে।
- সংক্রামিত ব্যক্তিদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ।
- সংক্রামিত বস্তুকে ছুঁয়ে তারপর নিজের মুখে বা নাকে হাত দেওয়া।
- নিজেস্ব জিনিষ যেমন তোয়ালে, জামাকাপড় বা খাবার অন্যের সঙ্গে ভাগ করা।
এটি কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিত্সা করা হয়?
একটি স্ট্রিপ পরীক্ষা করা হয় যেখানে গলা থেকে নমুনা নিয়ে সেই নমুনাকে মাইক্রোস্কোপের নিচে পরীক্ষা করা হয়। এরপরে স্কারলেট ফিভার রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য চিকিত্সকরা গলার কালচার সওয়াব করতে পারে। এটি বাচ্চাদের এবং কিশোরদের জন্য খুবই গুরুত্ত্বপূর্ণ কারণ তাদের অপরিশোধিত স্কারলেট ফিভারের থেকে বাতজ্বর বা রিউমেটিক ফিভার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
এই অবস্থার চিকিত্সা পেনিসিলিন বা অ্যামক্সিলিনের মত অ্যান্টিবায়ওটিক থেরাপির মধ্যমে করা হয়। এই সুস্বাস্থ্যবিধি 20 দিন পর্যন্ত করতে হবে, যদিও অনেকেই 5 দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠে। জ্বর এবং ব্যথার জন্য ওষুধের পরামর্শ দেওয়া হয়। ঘরোয়া কিছু প্রতিকারের মধ্যে রয়েছে লবণ জল দিয়ে গর্গেল করা, পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল পান করা এবং আরামদায়ক খাবার যেমন উষ্ণ সুপ খাওয়া।