পেট ব্যথা - Stomach Pain in Bengali

পেট ব্যথা
পেট ব্যথা

সারাংশ

পেট ব্যথা একটি বহুল ব্যবহৃত শব্দ। উদর অঞ্চলে (বুক আর কুঁচকির মধ্যবর্তী অঞ্চল) ব্যথাকেই পেট ব্যথা বলা হয়। পাকস্থলী ছাড়াও উদরে আরও অনেক অঙ্গ আছে, যেমন, যকৃৎ, অগ্ন্যাশয়, পিত্ত কোষ, অন্ত্র, প্রজনন অঙ্গ (বা যৌন অঙ্গ), মূত্রাশয়, ইত্যাদি। অতএব, এই অঙ্গগুলির যে কোন একটির ত্রুটি, আঘাত, সংক্রমণ, বা প্রদাহ (ফুলে যাওয়া) ইত্যাদি হলে পেট ব্যথা হতে পারে।

প্রত্যেকেরই, কোন না কোন সময় পেট ব্যথা হয়েছে। এটি খুবই সাধারণ সমস্যা, অল্প সময়ের জন্য হয়, এবং প্রায়শই গুরুতর সমস্যা নয়। কিন্তু কখনও কখনও এটি একটি অন্তর্নিহিত অসুখের ইঙ্গিত দেয়।

চিকিৎসা নির্ভর করে পেট ব্যথার অন্তর্নিহিত কারণটির উপর। চিকিৎসায় সাধারণত অন্তর্গত থাকে ওষুধ, তরল প্রতিস্থাপন, নিজের যত্ন নেওয়া এবং বিশ্রাম। খুব বিরল ক্ষেত্রে, অস্ত্রোপচার করতে হয়।

পেট ব্যথার কারণ - Causes of Stomach Pain in Bengali

পেট ব্যথার সাধারণ কারণগুলি হল অত্যধিক শারীরিক কার্যকলাপের কারণে পেশী প্রসারিত হওয়া, ক্রীড়া বা দুর্ঘটনাজনিত আঘাত, খাদ্যে বিষক্রিয়া, খাদ্যে এলার্জি, মহিলাদের মধ্যে ঋতুস্রাব কালীন খিল ধরা (মাসিকের ব্যথা), ফুলে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটের গ্যাস, আলসার, সংক্রমণ এবং প্রদাহ। খুব অল্প ক্ষেত্রে টিউমার এবং সিস্ট পেট ব্যথার কারণ হতে পারে।

জায়গার উপর ভিত্তি করে পেটের ব্যথা সৃষ্টি হয়:

  • উপরিভাগের কেন্দ্রগত (এপিগ্যাস্ট্রিক অঞ্চল):
    যদি আপনি এপিগ্যাস্ট্রিক অঞ্চলে ব্যথা অনুভব করেন, আপনি সম্ভবতঃ কষ্টভোগ করছেনঃ
    • অ্যাসিডিটি (অম্বল): এপিগ্যাস্ট্রিক ব্যথার এটা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি দেখা কারণ।  পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালী বা এসোফেগাস-এর মধ্যে উল্টোদিকে বেয়ে আসার কারণে এটা ঘটে।   
    • পেপটিক আলসার বা পেপটিক আলসার ডিজিজ:  পাকস্থলীর ভিতরের পর্দায় খোলা ক্ষত বা চিড়, যা খাবার খাওয়ার পর পাকস্থলী বা পেট ব্যথায় পর্যবসিত হয়। 
    • জিইআরডি (গ্যাস্ট্রোএসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ):  একটা পরিপাক-সংক্রান্ত (হজম) রোগ যাতে খাদ্যনালী বা নল যা মুখ আর পাকস্থলীকে সংযুক্ত করে তার মধ্যে পাকস্থলীর খাবারগুলো ঘন ঘন উল্টোদিকে প্রবাহিত হয়। আরও পড়ুনঃ (জিইআরডি চিকিৎসা)   
    • মায়োকার্ডিয়াল ইস্কিমিয়া: হৃৎপিণ্ডে রক্তপ্রবাহ হ্রাস বা কম হওয়ার কারণে এটা ঘটে, যে কারণে এটা (হৃৎপিণ্ড) পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন নাও পেতে পারে।
    • অ্যাবডমিনাল এরোটিক অ্যানুরিজম: একটা রোগ যাতে এরোটার দেয়াল (প্রধান রক্তবাহী ধমনী যা শরীরে রক্ত যোগান দেয়) দুর্বল হয়, ফুলে যায় এবং একটা ছোট বেলুনের মত বেরিয়ে আসে।
    • প্যানক্রিয়াটিক পেইন (প্যানক্রিয়াস বা অগ্ন্যাশয়ের ব্যথা)
    • গলব্লাডার এবং সাধারণ পিত্তনালীর বাধা
       
  • আপার রাইট রিজিয়ন (উপরিভাগের ডানদিকের এলাকা):
    যদি আপনি উপর দিকের ডানদিকের এলাকায় যন্ত্রণা অনুভব করেন, কারণগুলো হতে পারে:
    • অ্যাকিউট কোলিসিস্টাইটিস: গলব্লাডার পর্দার প্রদাহের কারণে যন্ত্রণা।
    • বিলিয়ারি কলিক: পিত্ত নালীর চলাচলে বাধা দেওয়া গলস্টোন বা গলব্লাডারের পাথরের কারণে যন্ত্রণা।
    • অ্যাকিউট হেপাটাইটিস: সংক্রমণ, মদ বা নেশার ওষুধের অপব্যবহার, কিছু ওষুধের বিরূপ প্রভাব, বিষাক্ত পদার্থ ইত্যাদি কিংবা ফোঁড়ার (পূঁজ জমা) কারণে ঘটা লিভার বা যকৃতের প্রদাহ।
    • হেপাটোমেগ্যালি: মদে আসক্তি, কিছু ওষুধের একটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, ইত্যাদি কারণে লিভারের অস্বাভাবিক পরিবর্ধন। 
    • ডিওডিনাল আলসার: ক্ষুদ্র অন্ত্রের (স্মল ইন্টেস্টিন) উপরিভাগে ক্ষত বা আলসার।
    • হারপিস জস্টার (সেই সমস্ত রোগী যাঁদের ভ্যারিসেলা জস্টার ভাইরাস দ্বারা আগে একবার সংক্রমণ হয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে ভাইরাস-এর আবার সক্রিয়করণের কারণে ঘটে) 
    • মায়োকার্ডিয়াল ইস্কিমিয়া: এই রোগে ভোগার একটা সামান্য সম্ভাবনা আছে যাতে হৃৎপিণ্ডে রক্তের প্রবাগ কমে যায়। একটা চর্বিযুক্ত পদার্থ ধমনীগুলোর দেয়ালে জমা হয় যা একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর শক্ত হয়ে যায় এবং হৃৎপিণ্ডে রক্তপ্রবাহ কমায়। যখন এই শক্ত বা কঠিন হয়ে যাওয়া চর্বি যাকে “প্ল্যাক” বলা হয়, সম্পূর্ণভাবে হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহ করা ধমনীগুলোকে বন্ধ করে দেয়, সেটা গুরুতর যন্ত্রণা সৃষ্টি করে। অন্যান্য লক্ষণ যেগুলো আপনি অনুভব করতে পারেন, তার মধ্যে আছে শ্বাসকষ্ট, ঘাড়, হাত অথবা কাঁধে যন্ত্রণা, শারীরিক পরিশ্রম ছাড়াই ঘাম হওয়া, ইত্যাদি।
    • রাইট লোয়ার লোব নিউমোনিয়া: ডান ফুসফুসের নীচের এলাকায় নিউমোনিয়া।
    • ডান কিডনিতে পাথর: ব্যথাটা প্রায়ই পিঠের ডানদিকেও চলে যায় (রেফার্ড)।
       
  • উপরিভাগের বাঁদিকের অঞ্চল:
    নীচে অল্প কিছু স্বাস্থ্য পরিস্থিতি তালিকাভুক্ত করা আছে যা পাকস্থলীর বাঁদিকের উপরের এলাকায় যন্ত্রণা সৃষ্টি করতে পারে।  
    • অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস (হালকা থেকে গুরুতর যন্ত্রণা প্যানক্রিয়াস-এর প্রদাহের কারণে যা ঘটে। খাবার পরে যন্ত্রণাটা হঠাৎ এবং গুরুতর হয় যা কয়েকদিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকতে পারে)
    • গ্যাস্ট্রিক আলসার (জীবাণুঘটিত সংক্রমণ, মদের যথেচ্ছ অপব্যবহার, জ্বরে ব্যবহার করা কিছু ওষুধ, কিছু ব্যথা প্রতিরোধক, মানসিক চাপ, মশলাদার খাবার খাওয়া, ইত্যাদি কারণে ঘটে)  
    • গ্যাস্ট্রাইটিস (পাকস্থলীর পর্দার প্রদাহ)
    • প্লীহার পরিবর্ধন, চিড় বা ইনফার্কশন (রক্ত সরবরাহে বাধা)
    • মায়োকার্ডিয়াল ইস্কিমিয়া
    • লেফট লোয়ার লোব নিউমোনিয়া
    • কিডনিতে পাথর (ব্যথাটা প্রায়ই পিঠের বাঁদিকেও চলে যায়)
       
  • লোয়ার রাইট রিজিয়ন:
    যদি আপনি পেটের নীচের ডানদিকে ব্যথা অনুভব করেন, সেটা নীচের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির কারনে হতে পারে:
    • অ্যাপেন্ডিসাইটিস: অ্যাপেন্ডিক্স-এর প্রদাহ যা পেটের নীচের ডানদিকে অবস্থিত কোলন থেকে প্রসারিত একটা আঙুল-আকৃতির নলাকার পাউচ। ব্যথাটা গুরুতর এবং প্রায়ই জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার দরকার হয়।
    • রাপচার্ড এক্টোপিক প্রেগন্যান্সিঃ একটা চিকিৎসাগত জরুরি পরিস্থিতি যাতে একটা নিষিক্ত ডিম (ফার্টিলাইজড এগ) জরায়ু ছাড়া অন্য কোনও স্থানে নিজেকে স্থাপন করে, বাড়ে এবং ফ্যালোপিয়ান টিউব ফাটিয়ে দেয়।
    • স্মল বাওয়েল/ইন্টেস্টিনাল অবস্ট্রাকশন  এলাকাগুলো বা নিরাময় ব্যান্ড/ক্ষত কোষ যা কোনও অস্ত্রোপচারের পর ঘটতে পারে। 
    • রিজিওনাল এন্টেরাইটিস বা ক্রোন’জ ডিজিজ: একটা দীর্ঘ-মেয়াদী পরিস্থিতি যাতে পাকস্থলী/পেট উত্তপ্ত হয়। এটা সাধারণতঃ ক্ষুদ্র অন্ত্র এবং কোলনকে আক্রমণ করে।
    • পেলভিক ইনফ্ল্যামেটোরি ডিজিজ/ডিজঅর্ডার: একজন মহিলার প্রজননক্ষম বা যৌন অঙ্গগুলোর প্রত্যঙ্গগুলোর একটা সংক্রমণ।
    • টুইস্টেড ওভারিয়ান সিস্ট: ডিম্বাশয় এবং ফ্যালোপিয়ান টিউবের রক্ত সরবরাহ বরাবর আংশিক কিংবা সম্পূর্ণ আবর্তন। 
    • হার্নিয়া: ঘটে যখন ক্ষুদ্র অন্ত্র বা চর্বিযুক্ত টিস্যুর মত কোনও অঙ্গ এর চারপাশের পেশী বা সংযোগকারী টিস্যু যাকে ফেশিয়া বলে তার কোনও দুর্বল জায়গার মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসে। 
    • ইউরিটারাল ক্যালকুলাই: কিডনির নালীর মধ্যে থাকা পাথর
       
  • লোয়ার লেফট রিজিয়ন:  
    যদি নীচের বাঁদিকের অঞ্চলে আপনার ব্যথা থাকে, নীচে উল্লিখিতগুলো হচ্ছে সম্ভাব্য স্বাস্থ্য পরিস্থিতি যেগুলো থেকে আপনি হয়তো ভুগছেন:
    • ডাইভার্টিকুলাইটিস: ডাইভার্টিকুলা বলে কথিত ছোট থলিগুলোর প্রদাহ বা সংক্রমণ যা অন্ত্রের দেয়ালগুলো বরাবর বৃদ্ধি পায়।   
    • লিকিং অ্যানুরিজম: একটা প্রাণঘাতী ঘটনা যেখানে কোনও অ্যানুরিজম (ধমনীর দেয়ালের একটা স্থানীয় অত্যন্ত বেশি স্ফীতি) ফেটে যায় এবং রক্তবাহী নালীর দেয়ালের মধ্যে রক্ত ছিদ্রপথে বার হয়। 
    • রাপচার্ড এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি
    • পেলিভিক ইনফ্ল্যামেটোরি ডিজিজ/ডিজঅর্ডার
    • টুইস্টেড ওভারিয়ান সিস্ট: ডিম্বাশয় এবং ফ্যালোপিয়ান টিউবের রক্ত সরবরাহ বরাবর আংশিক কিংবা সম্পূর্ণ আবর্তন।
    • ইউরিটারাল ক্যালকুলাই: কিডনির নালীর মধ্যে থাকা পাথর
    • হার্নিয়া: ঘটে যখন ক্ষুদ্র অন্ত্র বা চর্বিযুক্ত টিস্যুর মত কোনও অঙ্গ এর চারপাশের পেশী বা সংযোগকারী টিস্যু যাকে ফেশিয়া বলে তার কোনও দুর্বল জায়গার মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসে।
    • রিজিওনাল এন্টেরাইটিস বা ক্রোন’জ ডিজিজ: একটা দীর্ঘ-মেয়াদী পরিস্থিতি যাতে পাকস্থলী/পেট উত্তপ্ত হয়। এটা সাধারণতঃ ক্ষুদ্র অন্ত্র এবং কোলনকে আক্রমণ করে।
       
  • মিডল সেন্ট্রাল (পেরিআমবিলিক্যাল) রিজিয়ন:
    • ডিজিজ অব ট্রানজভার্স কোলন: পেটের ডান দিক থেকে বাঁদিকে কোলনের মাঝের অংশ প্রসারিত হওয়া।
    • গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস: উত্তপ্ত পাকস্থলী এবং অন্ত্র যা পেট খারাপ, বমি এবং পেটের ব্যথার দ্বারা বৈশিষ্ট্যগতভাবে চিহ্নিত।
    • অ্যাপেন্ডিসাইটিস
    • আর্লি বাওয়েল অবস্ট্রাকশন: পেটের অস্ত্রোপচারের একটা জটিলতা হিসাবে মলত্যাগে বাধা।
       
  • ডিফিউজড পেইন:
    যদি ব্যথাটা পৈটিক অঞ্চলের প্রায় সর্বত্র ঘটে, অথবা ক্রমাগত জায়গা বদলায়, কিংবা স্থানীয়ভাবে আবদ্ধ থাকেনা, এটাকে বলে ডিফিউজ পেইন (বিকীর্ণ ব্যথা)। এই ধরণের ক্ষেত্রগুলোতে, রোগী বিভ্রান্ত হন এবং ব্যথার উৎসস্থান সনাক্ত করতে অসুবিধা বোধ করেন। এই ধরণের ব্যথার সম্ভাব্য কারণগুলো হল:    
    • জেনারেল পেরিটোনাইটিস: পেরিটোনিয়াম-এর প্রদাহ, একটা টিস্যু যা পেটের ভিতরের দেয়ালে অবস্থান করে এবং বেশির ভাগ পৈটিক অঙ্গগুলো ঢেকে রাখে, জীবাণুঘটিত কিংবা ছত্রাক সংক্রমণ দ্বারা সৃষ্ট হয়।
    • অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস
    • সিক্‌ল সেল ক্রাইসিস: সিক্‌ল সেল ডিজিজ থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে ঘটে। কাস্তে-আকৃতি বা বাঁকানো লোহিত রক্তকোষগুলো ক্ষুদ্র রক্তবাহী নালীগুলোকে বাধা দেয় এবং গুরুতর ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।  
    • মেসেনটেরিক থ্রম্বোসিস: এক বা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শিরায় রক্ত জমাট বাঁধা যা অন্ত্রগুলো থেকে রক্ত নিষ্কাশন করে।
    • গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস
    • মেটাবলিক ডিস্টারব্যান্সেস
    • ডিসেক্টিং অর রাপচারিং অ্যানুরিজম
    • ইন্টেস্টিনাল অবস্ট্রাকশন
    • সাইকোজেনিক কজেজ: মানসিক চাপ, উদ্বেগ, মনমরা ভাব, ইত্যাদিও পৈটিক ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। যখন রোগী অন্তর্নিহিত মানসিক আঘাত থেকে আরোগ্যলাভ করেন এটা সাধারণতঃ চলে যায়।  
       
  • রেফার্ড পেইন:
    কখনও কখনও উৎসস্থল এবং ব্যথার অনুভূতির স্থান ভিন্ন ভিন্ন হয়। এটাকে বলা হয় রেফার্ড পেইন। কিছু শ্বাস-প্রশ্বাস সম্পর্কিত ব্যাধি যেমন নিউমোনিয়া, ফুসফুসগত সংক্রমণ (লাং ইনফেকশন), এবং হার্টের ব্যাধিগুলি যেমন মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (হার্ট অ্যাটাক) পেটের উপরিভাগ এলাকায় রেফার্ড পেইন সৃষ্টি করে।     

আমরা আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছি আপনার পৈটিক ব্যথার কারণ স্বয়ং-সনাক্তকরণ করার চেষ্টা করবেন না, শুধুমাত্র একজন ডাক্তার সঠিকভাবে এরকম করতে পারেন। আপনার পাকস্থলী বা পেটের ব্যথার অন্তর্নিহিত কারণ খুঁজে দেখার জন্য বিধান দেওয়া লক্ষণ-সংক্রান্ত পরীক্ষাগুলোর সাথে একটা শারীরিক পরীক্ষা প্রয়োজন।

Allen A55 Stomach Pain Drop
₹170  ₹200  15% OFF
BUY NOW

পেট ব্যথা এর চিকিৎসা - Treatment of Stomach Pain in Bengali

অল্প পেট ব্যথা সাধারণত দুই এক দিন থাকে। আমাদের পাচনতন্ত্র থেকে ময়লা ক্রমাগত পরিষ্কার হতে থাকে এবং তাই পেট ব্যথা নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায়। তবে একটি দীর্ঘস্থায়ী পেট ব্যথাকে উপেক্ষা করা উচিৎ নয়। এই ক্ষেত্রে ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নেওয়া দরকার এটা নিশ্চিত করার জন্য যে অন্য কোন গুরুতর কারণে পেট ব্যথা হচ্ছে না। যদি তা থাকে, তাহলে আমরা আপনাকে সনির্বন্ধ অনুরোধ করছি যে সময়মত এবং সম্পূর্ণ চিকিৎসা করান যাতে আপনার শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকে।

পেট ব্যথার চিকিৎসা নির্ভর করে তার রোগ নির্ণয়ের উপরে।

ব্যথা কমানোর ওষুধ খেলে, সাথে নিয়মিত তরল পদার্থ (উদাহরণ স্বরূপ ও-আর-এস দ্রবণ) পান করলে এবং নরম খাদ্য খেলে অল্প থেকে মাঝামাঝি তীব্রতার ব্যথা সাধারণত দুই এক দিনে ঠিক হয়ে যায়।

ওষুধ-পত্র

ব্যথা কমানোর ওষুধ কিছুটা আরাম দেয়। অম্বল হলে বাজার চলতি অম্বলের ওষুধগুলি তাড়াতাড়ি ব্যথা কমায়। বমি কমানোর জন্য ডাক্তারবাবুরা বমি বন্ধ করার ওষুধ দেন। শরীর থেকে কতটা তরল পদার্থ বেড়িয়ে গিয়েছে তার পরিমাণের উপর নির্ভর করে শিরার ভিতর দিয়ে ইন্ট্রাভেনাস ফ্লুয়িড (ড্রিপ) দিয়ে শরীরে তরল পদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়। ওড়াল রিহাইড্রেশান সল্ট (ও-আর-এস) এর দ্রবণ পান করতে দেওয়া হয়। সংক্রমণ বা ফোঁড়া (পুঁজ) হলে এন্টিবায়োটিক দেওয়া হয়।

শল্য চিকিৎসা

যদি উপসর্গগুলি থেকে যায়, তাহলে আপনার ডাক্তারবাবু আপনাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বা পরীক্ষা-নিরীক্ষার উপদেশ দেবেন। জরুরী ক্ষেত্রে আপনার স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে (যদি প্রয়োজন হয়) ডাক্তারবাবু অস্ত্রোপচার করার উপদেশ দেবেন।

নিজের যত্ন

যদি আপনি অল্প পেট ব্যথা অনুভব করেন অথবা যতক্ষণ না ডাক্তারবাবুর দেখা পাচ্ছেন, আপনি নিচে দেওয়া কাজগুলি করে নিজেকেই সাহায্য করতে পারেন:

  • আরামদায়ক জায়গায় শুয়ে পড়ুন।
  • নিজের দেহকে উষ্ণ রাখুন (বিশেষত ঋতুস্রাব কালীন খিল ধরা (মাসিকের ব্যথা) এবং পেশী প্রসারিত হওয়ার সময়)।
  • সঠিক বিশ্রাম নিন।
  • যদি উদরাময় বা পাতলা পায়খানা হয় তাহলে সাধারণ জল পান করবেন না।
  • সংক্রামিত পানীয় বা খাদ্য খাবেন না।
  • দুধ পান করবেন না।
  • মশলাদার এবং ভারি খাবার খাবেন না।
  • বারে বারে অল্প সময়ের ব্যবধানে হালকা খাবার অল্প পরিমাণে খাবেন।


তথ্যসূত্র

  1. Sherman R. Abdominal Pain. In: Walker HK, Hall WD, Hurst JW, editors. Clinical Methods: The History, Physical, and Laboratory Examinations. 3rd edition. Boston: Butterworths; 1990. Chapter 86
  2. Fields JM, Dean AJ. Systemic causes of abdominal pain.. Emerg Med Clin North Am. 2011 May;29(2):195-210, vii. PMID: 21515176.
  3. National Health Service [Internet]. UK; Stomach ache
  4. MedlinePlus Medical Encyclopedia: US National Library of Medicine; Abdominal pain
  5. Healthdirect Australia. Abdominal pain. Australian government: Department of Health

পেট ব্যথা জন্য ঔষধ

Medicines listed below are available for পেট ব্যথা. Please note that you should not take any medicines without doctor consultation. Taking any medicine without doctor's consultation can cause serious problems.

Lab Tests recommended for পেট ব্যথা

Number of tests are available for পেট ব্যথা. We have listed commonly prescribed tests below: