টিনিয়া ভারসিকলার কি?
টিনিয়া ভারসিকলার যা পিটিরিয়াসিস ভারসিকলার নামেও পরিচিত, হলো এমন এক অবস্থা যেখানে ত্বকের উপরে বসবাসকারী ম্যালাসেজিয়া ফাঙ্গাসের মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি ঘটে এবং এর কারণে ত্বক প্রভাবিত হয়। এই অবস্থায় ত্বকের উপর সাধারণত ঘাড়ে, বুকে, পিঠে এবং বাহুতে হাল্কা বা গাঢ় রঙের ছোপ হতে দেখা যায়। এই অবস্থা ক্ষতিকারক নয়, কিন্তু রোগের নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাময়ের জন্য ওষুধের প্রয়োজন।
এর প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি কি?
টিনিয়া ভারসিকলারের সবথেকে সুস্পষ্ট এবং কনক্রিট লক্ষণগুলি হলো ত্বকে বিবর্ণ ছোপ তৈরি হওয়া। এই ছোপগুলি সাধারণত ত্বকের রঙের থেকে হাল্কা হয় কিন্তু গাঢ়, গোলাপি, লালচে অথবা বাদামীও হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এই ছোপগুলি শুকনো আঁশযুক্ত হয় যার ফলে চুলকানি হতে পারে। এই সংক্রমণ হয়, শরীরের যে সমস্ত অংশে ঘাম হওয়ার সম্ভাবনা আছে সেই সব অংশে যেমন কুঁচকি, বগল, স্তনের তলায়, পেটের ভাঁজে, ভিতরের থাইয়ে, ঘাড় এবং পিঠে।
এর প্রধান কারণ কি?
টিনিয়া ভারসিকলার বিকাশের প্রধান কারণ হলো আক্রান্ত ব্যক্তির বাসস্থানের আশেপাশে পরিবেশ এবং জৈবিক কারণগুলি। আর্দ্র এবং উষ্ণ জলবায়ু যার কারণে অতিরিক্ত ঘাম হয়, তার জন্যেও এই অবস্থার বৃদ্ধি ঘটে। টিনিয়া ভারসিকলারের অন্যান্য কারণগুলি হলো:
- টিনিয়া ভারসিকলারের পারিবারিক ইতিহাস।
- ড্রাগের ব্যবহার যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়।
রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা পদ্ধতি কি?
আক্রান্ত অংশের শারীরবৃত্তিয় পরীক্ষা রোগ নির্ণয়ে সাহায্য করে, যদিও খুব কম ক্ষেত্রে চিকিৎসক রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে কিছু পরীক্ষার পরামর্শ দিতে পারেন:
- স্কিন স্ক্র্যাপিং এবং পরিক্ষার মাধ্যমে ফাঙ্গালের বৃদ্ধি সম্পর্কে জানা।
- উডস ল্যাম্প টেস্টের মতো পরীক্ষার মাধ্যমে ফাঙ্গালের বৃদ্ধি সম্পর্কে জানা।
রোগের চিকিৎসা এবং নিরাময়ের জন্য চিকিৎসক অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বড়ি এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল লোশন এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল শ্যাম্পুর মতো পার্সোনাল কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহারের পরামর্শ দিতে পারেন। সাধারণত এই জিনিসগুলিতে কেটোকনাজল, পারমেথ্রিন এবং অন্যান্য ধরণের ওষুধ থাকে। ব্যক্তিগত স্বাস্থবিধি বজায় রেখে যেমন সূতির ঢিলে জামাকাপড় পরা, দিনে দুবার সাবান এবং জল ব্যবহার করে স্নান করা এবং ত্বক শুকনো রাখা দ্রুত নিরাময় এবং রোগের পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধ করে।