ক্লেবসিয়েলা সংক্রমণ কি?
ক্লেবসিয়েলা সংক্রমণ হল মূলত নসোকোমিয়াল (হাসপাতাল-লব্ধ) প্রকৃতির। এর মধ্যে রয়েছে প্রধানত নিমোনিয়া (খুব সাধারণ), রক্ত প্রবাহের সংক্রমণ, আঘাত বা উন্মুক্ত আঘাত (ক্ষত), সংক্রমণ, এবং মেনিঞ্জেসের ফুলে যাওয়া (মস্তিষ্কের বাইরের পর্দা)। যে সমস্ত রোগী ভেন্টিলেটরে থাকেন, ক্যাথেটার অথবা দীর্ঘদিন ধরে আন্টিবায়োটিকের ব্যবহার থেকে ক্লেবসিয়েলা সংক্রমণ হতে পারে। ওষুধ প্রতিরোধী হওয়ায় এই অণুজীবের প্রজাতির চিকিৎসা করা খুবই চ্যালেঞ্জের।
এর প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি কি?
ক্লেবসিয়েলা সংক্রমণ বিভিন্ন মানুষের মধ্যে বিভিন্নভাবে দেখা দেয়। এই সংক্রমণ শরীরের উপর প্রতিকূল প্রভাব ফেলে এবং মৃত্যুর ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। চিরাচরিত লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি হল:
- শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া।
- কাঁপুনি।
- নাক দিয়ে জল পড়া, হাঁচি এবং কাশি হওয়া ফ্লুর উপসর্গের মতো চেনা লক্ষণ।
- থুতু হলদেটে রঙয়ের অথবা রক্ত মেশানো।
- শ্বাসকষ্ট।
এর প্রধান কারণগুলি কি কি?
এর প্রধান কারণ হল ক্লেবসিয়েলা ব্যাক্টেরিয়া, যা ক্লেবসিয়েলা প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। এই ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত ধকল অনেক রকমের সংক্রমণ উৎপাদন করতে পারে আর তা শরীরে কোন জায়গায় হয়েছে তার উপর নির্ভর করে। এই অণুজীবগুলি অন্ত্রে উপস্থিত থাকে এবং কোনও ক্ষতি করে না, কিন্তু যখন এই অণুজীবগুলি ফুসফুসের অন্যান্য অঙ্গে মতো পৌঁছায়, তখন তারা গুরুতর সংক্রমণের কারণ হতে পারে, যদি সেটা বেশি দিন ফেলে রাখা হয়। এই সংক্রমণ একজনের থেকে অন্যের দেহে সংবাহিত হতে পারে, বিশেষ করে হাসপাতালের মতো জায়গায়।
এটি কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?
ক্লেবসিয়েলা নির্ধারণ করতে গেলে প্রধানত রক্ত, থুতু অথবা প্রস্রাবের মতো নমুনার পরীক্ষা করতে হয়। ইমেজিং পরীক্ষা যেমন এক্স-রে বা পিইটি (পোজিট্রন এমিশন টোমোগ্রাফি) স্ক্যান হয়তো ব্যবহার করা হতে পারে ফুসফুসে সংক্রমণের ক্ষেত্রে, বিশেষত, সামাজিকভাবে-লব্ধ নিমোনিয়ার ক্ষেত্রে।
যেহেতু এই ব্যাক্টেরিয়াল অণুজীব কিছু অ্যান্টিবায়োটিক্সের প্রতিরোধী, তাই চিকিৎসা করা কঠিন হতে পারে। সংবেদনশীলতা দেখার জন্য করা অন্যান্য় অতিরিক্ত পরীক্ষার উপর নির্ভর করে যথাযথ অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসা দেওয়া হবে। এটা সবসময় বলা হয় যে প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী আন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার মেয়াদ যেন পুরো করা হয় আর মাঝপথে যাতে বন্ধ না করে দেওয়া হয়। যেমনভাবে বলা হয়েছে, সেভাবে অ্যান্টিবায়োটিক নিলে সর্বোচ্চ উপকারিতা পাওয়া যায়।
যদি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে ক্লেবেসিয়েলা সংক্রমণ খুবই মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। ওষুধ প্রতিরোধক এড়িয়ে চলা উচিত যাতে এই সংক্রমণ হওয়ার পরিস্থিতি না জন্মায়।