ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স কি?
ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স হল এমন এক অবস্থা যেখানে ক্ষুদ্রান্ত্রে ল্যাকটেজ এনজাইমের অভাব হয়, যে শর্করা ল্যাকটোজ হজম করতে সাহায্য করে। ভারতের তুলনায় পূর্ব এশিয়ার অঞ্চলে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি।
এর প্রধান কারণ এবং উপসর্গগুলো কি কি?
ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সের ফলে যেসব লক্ষণ দেখা দেয়:
- তলপেটে গ্যাস (পেটফাঁপা)।
- পাতলা পায়খানা।
- গ্যাস্ট্রিক অংশে ওডেমা (ফুলে ওঠা)।
- বমি বমি ভাব।
এর প্রধান কারণগুলি কি কি?
- গ্যাস্ট্রিক এবং অন্ত্রের প্রদাহ।
- পরজীবী সংক্রমণ।
- গ্যাস্ট্রিক আস্তরণে ক্ষত হওয়া।
এটি কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?
আপনার ডাক্তার হয়তো আপনাকে লক্ষণ এবং খাওয়া দাওয়ার অভ্যাস সহ আপনার সাম্প্রতিক অসুস্থতার ইতিহাসের কথা জিজ্ঞেস করতে পারেন, যা আপনার খাদ্যাভাসের সম্পূর্ণ ছবি তুলে ধরতে পারে। শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। হাইড্রোজেন ব্রিদ টেস্ট, স্টুল অ্যাসিডিটি টেস্ট এবং এলিমিনেশন টেস্ট (খাবারের অ্যালার্জির নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয়) হল কিছু অতিরিক্ত পদ্ধতি, যা রোগ নির্ণয় করার জন্য করা হতে পারে।
ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সের জন্য কোনও ওষুধ নেই। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ল্যাকটোজযুক্ত খাবার খাওয়া কমানো বা পুরোপুরি এড়িয়ে চলাই একমাত্র এই অবস্থার উন্নতি করতে পারে।
নিজের যত্ন নেওয়ার টিপস:
- দুগ্ধজাত খাদ্য এড়িয়ে চললে পুষ্টির অভাব হতে পারে। তাই, তার পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর বিকল্প খোঁজা জরুরি।
- চিজ হয়তো খাদ্যতালিকায় থাকতে পারে, কারণ দেখা গেছে যারা ল্যাকটোজ ইন্টলারেন্সে ভোগেন তারা চিজ ভালোই সহ্য করতে পারেন।
- মাখন এবং ক্রিমের ক্ষেত্রেও এক ব্যাপার যেহেতু তাতে ল্যাকটোজের মাত্রা কম। প্রয়োজনীয় শক্তির জন্য পূরণের জন্য দইও সাহায্য করতে পারেন যেহেতু দইয়ে থাকা ব্যাক্টেরিয়া ল্যাকটোজের মাত্রা কমিয়ে দেয়। আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন যে সেটা আপনার জন্য ঠিক কি না।
- সয়া জাতীয় খাদ্য যেমন সয়া দুধ সাধারণত দুগ্ধজাত দ্রব্র্যের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যদিও, সয়ার খাবারে একই রকম পুষ্টিকর মাত্রা প্রদান করে না।
- ডেয়ারির জিনিস ছাড়া আর যাতে ল্যাকটোজ আছে তা হল কুকিজ, কেক, কাস্টার্ড, চিজ সস এবং পাউরুটির উপকরণ। যখন আপনি মুদির বাজার করতে যাবেন, খাবারের প্যাকেটের গায়ে লাগানো লেবেল দেখে নেবেন আর এটাও দেখবেন যে সেটা ল্যাকটোজ-মুক্ত কি না।