কিউ ফিভার কি?
কিউ ফিভার, বা কোয়েরি ফিভার, একটি স্বাস্থ্য সম্বন্ধীয় সমস্যা যার কারণ কোক্সিয়েলা বার্নিটি নামক ব্যাকটেরিয়া। এই রোগজীবাণুটি সাধারণত গবাদি পশুদের মধ্যে দেখা যায় যেমন গরু, ছাগল এবং ভেড়া। যেসব ব্যক্তিরা সাধারণত এই ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা আক্রান্ত হন তারা হলেন পশু চিকিৎসক, কৃষক এবং সেইসব ব্যক্তিরা যারা পরীক্ষাগারে এই ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে এসে কাজ করেন। এই রোগে আক্রান্তের কোন উপসর্গ নাও থাকতে পারে বা অবস্থাটিতে ভোগার সময় লঘু কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এই রোগ মারাত্মক ভাবেও আক্রান্ত করতে পারে, কিন্তু ওষুধ দ্বারা এর নিরাময় সম্ভব।
এর প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলি কি কি?
কিউ ফিভারের উপসর্গগুলি খুব সহজে প্রকট হয়না। এই ব্যাকটেরিয়া শরীরে দুই সপ্তাহকাল থাকার পর লক্ষণগুলি প্রকট হতে থাকে। নির্ণয়ক উপসর্গগুলি হল:
- জ্বর।
- ঘাম হওয়া অথবা শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া।
- কাশি এবং বুকে চাপভাব।
- মাথাব্যথা।
- ডায়রিয়া, ফ্যাকাশে এবং মাটি বর্ণের মলত্যাগ।
- বমি বমি ভাব এবং তলপেটে ব্যথা।
- জন্ডিস।
এর প্রধান কারণগুলি কি কি?
যে ব্যাকটেরিয়াটি কিউ ফিভারের জন্য দায়ী সেটি সাধারণত গবাদি পশু, ছাগল এবং ভেড়াদের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়। এই ব্যাকটেরিয়া এইসব পশুদের মূত্রে, মলে এবং দুধে পাওয়া যায়, এবং তা বিশেষত ধুলোর দ্বারা ছড়ায়, যা সেইসব ব্যক্তিরা নিঃশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করেন যারা এই পশুগুলির সংস্পর্শে থাকেন। এই জ্বর এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির দেহে সংক্রামিত হয় না।
এটি কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?
যেহেতু এই উপসর্গগুলি আরো অনেক রোগের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তাই কিউ ফিভার সঠিক পথে নির্ণয় করা কঠিন হতে পারে। যাইহোক, কিউ ফিভারের বিশেষ উপসর্গগুলির উপস্থিতিতে শারীরিক পরীক্ষা অবশ্যই করা দরকার এবং রোগীটির পশুদের চারপাশে কাজ করার ইতিহাস, ডাক্তারকে অবস্থাটির পরিষ্কার মূল্যায়ণ দিতে পারে। কিউ ফিভার নির্ণয় করতে অ্যান্টিবডি টেস্টই হল শ্রেষ্ঠ পথ, কিন্তু যদি তা সংক্রামিত হওয়ার 10 দিনের মধ্যে করা হয় তবে এটা সচরাচর কোন ফলাফল দেয় না।
যদি কিউ ফিভারে লঘু প্রকৃতির হয়, এটি সাধারণত কোন ওষুধগ্রহণ ছাড়াই কিছুদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়। অনেকটা গুরুতরভাবে আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে, 2 থেকে 3 সপ্তাহের জন্য ডাক্তার অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের পরামর্শ দিতে পারেন, অনেকসময় তা কোনরকম গবেষণাগারের পরীক্ষা ছাড়াই দেওয়া হয়। যদি রোগটি দীর্ঘকালীন হয় তবে ডাক্তার 18 মাস পর্যন্তও অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পরামর্শ দিতে পারেন।