সারাংশ
গলা ব্যথা একটি উপসর্গ যা বাচ্চা এবং বড় উভয়ের মধ্যেই দেখা যায়। এটি সব চেয়ে সাধারণ অবস্থাগুলির মধ্যে একটা যা ডাক্তারবাবুরা বহির্বিভাগে চিকিৎসা করেন। ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস সহ 200 এরও বেশি উদ্ভিজ্জাণু আছে যেগুলি গলা ব্যথার কারণ হতে পারে। যে সমস্ত জায়গায় সংক্রমণ এবং পুনঃ-সংক্রমণের ঝুঁকি আছে, যেমন জনাকীর্ণ স্থানে এবং অস্বাস্থ্যকর স্থানে যে বাচ্চারা বসবাস করে তাদের গলা ব্যথা খুবই বেশি হতে পারে। গলা ব্যথার সব চেয়ে সাধারণ কারণ হল ফ্লু বা সর্দি-কাশি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একজন আক্রান্ত ব্যক্তির নাক বা মুখের লালা থেকে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বাতাসের মাধ্যমে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। জনাকীর্ণ স্থান বা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করলে, অস্বাস্থ্যকর ভাবে প্রস্তুত করা খাদ্য গ্রহণ করলে, রাসায়নিক, ধোঁয়া এবং যন্ত্রণাদায়ক পদার্থের সংস্পর্শে এলে গলা ব্যথা হতে পারে। গলাধ:করণ করতে অসুবিধে ছাড়াও অন্যান্য উপসর্গ যেমন জ্বর, ফুসকুড়ি বা মাথাব্যাথাও হতে পারে।
গলা ব্যথার সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসার বিস্তারিত ইতিহাস জানা প্রয়োজন, কারণ অন্যান্য অনেক অসুখেই গলা ব্যথা হতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গলা ব্যথা কোন ওষুধ ছাড়াই সেরে যায় কিন্তু অনেককেই এন্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করতে হয়। স্ট্রেপটোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া ঘটিত গলা ব্যথায় এন্টিবায়োটিক দিয়ে সঠিক চিকিৎসা হওয়া প্রয়োজন যাতে জটিলতা আরও বেশি না বাড়ে। অন্যান্য কারণে গলা ব্যথার আরও জটিল এবং রোগ-নির্দিষ্ট চিকিৎসা হওয়ার দরকার হতে পারে। রোগী অবিলম্বে নাকি দেরিতে এন্টিবায়োটিকের চিকিৎসা পেয়েছে কিনা তা নির্বিশেষে 1% রোগীদের গলা ব্যথায় জটিলতা হতে পারে।