ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া কি?
ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া ঘাড়ের কাঠামোতে অসুবিধা ছাড়া কিছুই না। অবহেলা করলে, এর থেকে ব্যথা এবং ঘাড় নাড়াতে অসুবিধা হতে পারে। সাধারণত ঘাড়ের পেশীতে খিঁচুনি লাগার কারণেই ঘাড় শক্ত হয়ে যায়।
এর প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি কি?
ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়ার ফলে ঘাড়ে ব্যথা হয় এবং পাশে মাথা ঘোরাতে অসুবিধার সৃষ্টি হয়। যদি কোনও স্নায়ু সংকুচিত হয় তাহলে আপনি শরীরের প্রভাবিত দিকের হাতে অস্বস্তি, অবশতা এবং দুর্বলতা অনুভব করতে পারেন।
এর প্রধান কারণগুলি কি কি?
ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়ার জন্য প্রাত্যহিক কাজগুলোকেই দায়ী করা যায়। যেগুলি হলো, ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইল বা ল্যাপটপে কাজ করা, বসার ভঙ্গি সঠিক না হওয়া, ঝুঁকে হাঁটা, ভারী জিনিস তোলা এবং আরও অনেক কিছুই। এই ধরণের কাজগুলি আপনার ঘাড়ে চাপ সৃষ্টি করে এবং অনেকক্ষণ ধরে অস্বস্তিকর অবস্থায় থাকতে বাধ্য করে। অন্য কারণগুলি হলো মানসিক চাপ যার ফলে ঘাড়ের পেশীতে টান পড়ে এবং তার ফলে অনেকক্ষণ ঘাড় শক্ত হয়ে থাকে। খেলতে গিয়ে আঘাত বা দুর্ঘটনাজনিত আঘাতও ঘাড় শক্ত হওয়ার সাধারণ কারণ। সারভাইকাল স্পন্ডাইলোসিস, টর্টিকোলিস এবং ফাইব্রোম্যালজিয়ার মত মেডিক্যাল অবস্থার জন্য ঘাড় শক্ত হতে পারে।
রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা পদ্ধতি কি?
উপসর্গগুলির উপর ভিত্তি করে, আপনার চিকিৎসক আপনার ঘাড়ের পরীক্ষা করবে এবং অবস্থার তীব্রতা সম্পর্কে জানতে ঘাড়ের নড়াচড়ার সীমা পরীক্ষা করবেন। স্ক্যানের সাধারণত কোনও প্রয়োজন হয় না।
যদি প্রয়োজন হয় তাহলে মাশল রিলাক্ট্যান্ট, ব্যথা এবং প্রদাহ উপশমকারী ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়।
ঘরোয়া টোটকা এবং নিজের যত্ন নেওয়া খুবই উপযোগী এবং তা করাও উচিৎ। এগুলি হলো:
- দিনের মধ্যে 10-15 মিনিটের জন্য গরম এবং ঠান্ডা সেক দিন।
- লক্ষণগুলি উপশম হওয়া পর্যন্ত ঘাড়ের বিশ্রাম এবং কোন ব্যায়াম না করা।
- কঠোরতা কমাতে হাল্কা মালিশ করা যেতে পারে।
- পোক্ত গদির উপর শুলে ঘাড়ে ভালো সাপোর্ট দেয় এবং ঘাড়ের কঠোরতা ,কমাতে সাহায্য করে।
জীবনযাত্রার কিছু সাধারণ পরিবর্তন করে ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়াকে এড়ানো যায়, যেমন:
- ল্যাপটপ এবং মোবাইলে কাজ করার জন্য সময় সীমাবদ্ধ করা।
- চেয়ারের উচ্চতা নিয়ন্ত্রণ করা যাতে কম্পিউটর আপনার চোখের লেভেলে থাকে।
- একভাবে বসে না থেকে মাঝে মাঝে উঠে স্ট্রেচ করতে হবে।
- নিয়মিত ব্যায়াম এবং বসার সঠিক ভঙ্গীমা বজায় রাখতে হবে।