তিসি বীজ কী?
আজকের দিনে যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তি তাঁদের সিংহভাগই তিসি বীজের কী ‘চমৎকারিত্ব’ সম্পর্কে জানেন। যদি আপনি এমন কোনও ব্যক্তি হন যাঁকে তিসি বীজ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তাহলে আপনি ঠিক জায়গায় এসে পড়েছেন যেখানে আপনি তিসি বীজ এবং শরীরে তার উপকারী প্রভাব সম্পর্কে বিশদ তথ্য জানতে পারবেন।
তিতি বীজ সম্পর্কে বলা হয়, এটি নবীন এবং প্রবীণদের খাদ্যে প্রোটিনের একটি দারুণ উৎস। সকলের মনে এটি জায়গা করে নিয়েছে। যা একদিন খাদ্যাভ্যাসে সাপ্লিমেন্ট (অতিরিক্ত) হিসাবে যুক্ত হয়েছিল তা ক্রমে বাজারের শেলফে কনফেকশনারি, সিরিয়াল এবং এনার্জি বার হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে। কৃষকরা এখন বাস্তবিক উন্নত মানের বীজ উৎপাদনের জন্য বিশেষভাবে তিসির ফলন করছেন। যদিও আজ বিজ্ঞান এবং গবেষণার দৌলতে উন্নত মানের তিসি বীজ মিলছে, এই একবিংশ শতকের আশ্চর্যজনক শস্যবীজের ইতিহাস নতুন নয়। তিসিবীজের প্রাচীনতম ব্যবহারের যে নিদর্শন মিলেছে তা আদি প্রস্তরযুগের। বাইবেল-এও তিসি বীজ এবং তন্তুর উল্লেখ পাওয়া যায়। মিশরীয়রা মৃতদেহ সংরক্ষণ এবং মুড়ে ফেলার জন্য কবর দেওয়ার প্রাক্কালে মামি করার সময় তিসি এবং কাপড় (লিনেন) ব্যবহার করত বলে জানা যায়। কাজেই একথা বললে ভুল হবে না, তিসির বীজের ইতিহাস মানুষের ইতিহাসের মতই প্রাচীন।
তিসি বীজ সম্পর্কে কিছু প্রাথমিক তথ্য:
- বৈজ্ঞানিক নাম: লিনাম ইউসিট্যাটিসিমাম (এই প্রজাতির অর্থ ‘‘অতি উপকারী’’)
- পরিবার: লিনেসা
- সাধারণ নাম: ‘‘আলসিকেবীজ’’, তিসি (লিনসিড), তিসিবীজ (ফ্ল্যাক্সসিড), সাধারণ তিসি।
- সংস্কৃত নাম: অতসী
- কোন অংশ ব্যবহৃত: বীজ
- আদি দেশ এবং ভৌগৌলিক বণ্টন: তিসিবীজ ইউরোপ এবং এশিয়ার অধিকাংশ এলাকায়, কানাডা এবং আমেরিকার কিছু অংশে অধিকাংশ এলাকাতেই উৎপন্ন হয়ে থাকে। ভারতে সিংহভাগ উৎপাদন হয়ে থাকে মহারাষ্ট্র, বিহার, ছত্তিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশে।
- শক্তিবর্ধক: উষ্ণতা