কিউই ফলকে সাধারণত কিউই বলে অভিহিত করা হয়, তা হচ্ছে একটি ডিম্বাকৃতির বেরি, যা কিউই উদ্ভিদ, অ্যাক্টিনিডিয়া ডেলিসিওসা থেকে পাওয়া যায়।
এটির স্বাদ কষা এবং মিষ্টি, যার জন্য মিষ্টি এবং সুস্বাদু পদের জন্য এটি একটি নিখুঁত উপাদান। কিউইর বীজ ফলের স্যালাডে একটি অতিরিক্ত তাজা স্বাদ নিয়ে আসে।
খোসা, শাঁসালো অংশ এবং বীজ সমেত কিউরি ফলের সবটুকুই খাওয়া যায়। যদিও অনেকেই বাইরের খোসাটি খেতে পছন্দ করেন না, তবে দেখা গিয়েছে সবটুকু খেলে পুষ্টিগুণ বেশি মেলে।
গ্রীষ্মপ্রধান দেশে কিউই ভাল জন্মায়, এবং কম তাপমাত্রায় উৎপাদন ভাল হয় না, তবে শীতপ্রধান এলাকায় কিছু মাঝারি ধরনের কিউই জন্মায়।
এটিকে চাইনিজ গুজবেরিও বলা হয়, চিনেই এর আদিনিবাস এবং সেখানে বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ কিউই উৎপাদন হয়ে থাকে। ভারতের হিমাচল প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, জম্মু এবং কাশ্মীর, সিকিম, কর্নাটক এবং কেরলে কিউই চাষ হয়ে থাকে।
কিউইকে বলা যেতে পারে পুষ্টির কারখানা এবং চিনে শিশু এবং সদ্যোজাত শিশুর মাকে কিউইর টনিক পথ্য হিসাবে দেওয়া হয়।
বুকের রোগ বা কার্ডিওভাসকিউলার অসুখ সামলাতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কিউই ব্যবহার করা যেতে পারে এবং এটি রেটিনার অবনতি বা ম্যাকুলার ডিজেনারেশন রোধ করে। এই ফলের অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান স্বাস্থ্যের পক্ষে আশীর্বাদস্বরূপ।
কিউইর কিছু প্রাথমিক তথ্য:
- বৈজ্ঞানিক নাম: অ্যাক্টিনিডিয়া ডেলিসিওসা
- পরিবার: অ্যাক্টিনিডিয়াসিয়াই, ছোটজাতের ফুলের গাছ ।
- সাধারণ নাম: কিউই, কিউই ফল। প্রথমে এটিকে ‘‘চাইনিজ গুজবেরি’’ বলা হত।
- সাধারণ হিন্দি নাম: কিউই ফল
- উদ্ভাবন স্থান এবং ভৌগৌলিক বণ্টন: আদিতে চিনের উত্তর-মধ্য এবং পূর্ব অংশে এই ফলটির চাষ হতো। চিনের পর বাণিজ্যিকভাবে এই ফলটির চাষ শুরু হয় নিউজিল্যান্ডে। পরে দ্বতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফলটি ব্রিটিশ এবং মার্কিন সেনাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বর্তমানে বিশ্বের বহু এলাকায় কিউইর চাষ হচ্ছে।
- না জানা তথ্য: কিউই ফলকে বলা হয় ‘‘নিউট্রিশনাল অল স্টার বা পুষ্টির জগতে মহাতারকা’’ কারণ রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানিয়েছেন, সাধারণভাবে যে 21 টি ফল সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় তার মধ্যে এর পুষ্টিগুণ সর্বাধিক।