সারাংশ
জরায়ু বা গর্ভাশয়ের আঁশ বা তন্তুযুক্ত টিস্যু বা ইউটেরাইন ফাইব্রয়েডস (লায়োমায়োমাস, ইউটেরাইন মায়োমাস, মায়োমাস, অথবা ফাইব্রোমাস হিসাবেও পরিচিত) হচ্ছে ক্যান্সারহীন (অক্ষতিকর) বৃদ্ধি যা জরায়ুর (গর্ভাশয়) পেশীবহুল টিস্যু থেকে গড়ে ওঠে। ফাইব্রয়েড জরায়ুর যেকোন জায়গায় উপস্থিত হতে পারে, যেমন, জরায়ুর বাইরের উপরিভাগে, জরায়ুর দেয়ালের মধ্যে, অথবা জরায়ুসংক্রান্ত দেয়ালের সাথে একটা গাছের কাণ্ড সদৃশ (টিস্যুর লম্বা সরু দণ্ডযুক্ত ফাইব্রয়েড) সহায়ক একটা কাঠামোর দ্বারা যুক্ত। বিভিন্ন আকারের একটা একক ফাইব্রয়েড অথবা অনেকগুলি ফাইব্রয়েড হতে পারে। একটা ফাইব্রয়েড বহু বছর ধরে ধীরে ধীরে বাড়তে পারে অথবা একটা দীর্ঘ সময় ধরে ছোট থেকে যেতে পারে এবং তারপর হঠাৎ করে দ্রুততার সঙ্গে বাড়তে পারে। ফাইব্রয়েডগুলি কেন গড়ে ওঠে তার কারণ যদিও অজানা, কিন্তু বংশগত এবং হরমোনগুলির মত বিষয় ফাইব্রয়েডগুলির বৃদ্ধি চাঙ্গা করায় একটা ভূমিকা পালন করে বলে বিবেচনা করা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, ফাইব্রয়েড আদৌ কোনও উপসর্গ সৃষ্টি করেনা, কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রে, মহিলারা খুব বেশি মাসিক বা রজঃস্রাব-সংক্রান্ত রক্তপাত এবং তীব্র পেটের ব্যথা অনুভব করতে পারেন। কিছু ওষুধ আছে যা ফাইব্রয়েডের উপসর্গগুলি উপশম করতে পারে। যাই হোক, এই ওষুধগুলি ফাইব্রয়েডগুলিকে আকারে বাড়া থেকে রোধ করতে নাও পারে। সাধারণতঃ, কোনও উপসর্গ ছাড়া ফাইব্রয়েডগুলোর কোনও চিকিৎসার দরকার হয়না। উপসর্গযুক্ত মহিলাদের ক্ষেত্রে, যদি প্রত্যাশামত ওষুধগুলি কাজ না করে, অস্ত্রোপচার হচ্ছে চিকিৎসার বিকল্প। ফাইব্রয়েডগুলির সম্ভাব্য জটিলতার মধ্যে প্রধানতঃ অন্তর্ভুক্ত তীব্র ব্যথা, অত্যধিক রক্তপাত, অথবা ফাইব্রয়েডের নিজেই পাকিয়ে যাওয়া বা মুচড়ে যাওয়া। অন্যান্য জটিলতা যা ঘটতে পারে সেগুলির মধ্যে আছে অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা, মূত্র-সংক্রান্ত নালীর সংক্রমণ অথবা বিরল (খুব কম) ক্ষেত্রে, বন্ধ্যাত্ব।