জোয়ান হল মিশরের স্থানীয় একটি মশলা , কিন্তু আজ তা ভারতীয় উপমহাদেশে সবচেয়ে প্রচলিত মশলাগুলির একটি বলে স্বীকৃত হয়েছে । জোয়ানের তিক্ত স্বাদের জন্য এটিকে থাইমের সাথে মাঝে মধ্যেই তুলনা করা হয় । এরকম হওয়ার কারণ হল এই যে এই দুটি গাছড়াতেই থাইমল নামের একটি রাসায়নিক উপাদান রয়েছে । এই দুটি গাছড়ার তুলনা করা হলে দেখা যাবে যে জোয়ানের স্বাদ তুলনামুলক ভাবে কড়া থাইমের থেকে । তবুও , এই দুই গাছড়া রান্নাঘরের ক্যাবিনেটে নিজ নিজ জায়গা করে নিয়েছে ।
আপনি যদি নিজে ঘরোয়া প্রতিকার তৈরি করতে পছন্দ করেন , তাহলে আপনি হয়তো ইতিমধ্যেই জানেন যে জোয়ান সুধু যে সুস্বাদু তা নয় , এর বেশ কিছু ঔষধি গুনও রয়েছে । প্রথাগতভাবে , গ্যাস , অম্লতা ও পেটে সংকুচনের মত সবচেয়ে প্রচলিত অন্ত্রের সমস্যাগুলির জন্য আমরা জোয়ানের স্মরনাপন্ন হই । জোয়ান একটি পরিচিত গ্যালাকটাগগ (সদ্য হওয়া মায়েদের দুধ নিঃসরণ উন্নত করে) এবং ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও এটি স্বনামধন্য প্রতিকার ।
জোয়ান গাছ হল একটি লতাপাতা বিশিষ্ট বার্ষিক উদ্ভিদ , যেটি প্রত্যেক বছর রোপণ করার দরকার পড়ে । এই উদ্ভিদটির গড় উচ্চতা 60 থেকে 90 মিটার হয় । জোয়ান গাছের কাণ্ডটি উপরিভাগ হয় খাঁজ কাটা (সমান্তরাল রেখা) এবং এর পাতাগুলিতে একটি স্বতন্ত্র সুবাশ রয়েছে যেটি এড়ানো সম্ভব নয় । ছোট্ট সাদা জোয়ান ফুলগুলি শাখার ডগায় গুচ্ছতে ফলে ।
জোয়ানের বীজের রঙ সবজে থেকে খয়রি গোছের হয় এবং উপরিভাগ হয় খাঁজকাটা ।
জানতেন কি?
কিছু লোকাচার অনুযায়ী নিজের সাথে জোয়ান রাখলে জীবনের সব আঙ্গিকে ভাজ্ঞ সহায় থাকে ।
জোয়ানের ব্যাপারে কিছু মৌলিক তথ্যঃ
- বোটানিক্যাল নামঃ ট্র্যাচিস্পার্ম আম্মি
- পরিবারঃ আপিয়াসি
- প্রচলিত নামঃ জোয়ান , ক্যারম বীজ
- সংস্কৃত নামঃ আজমোদ , জামিনী
- ব্যবহৃত অংশঃ বীজ
- স্থানীয় অঞ্চল ও ভৌগলিক বণ্টনঃ জোয়ান মিশরের স্থানীয় উদ্ভিদ তবে এটি ভারত , পাকিস্তান , ইরাক ও ইরানেও পাওয়া যায় । ভারতে জোয়ান চাষ করা হয় মধ্য প্রদেশ , গুজরাট , বিহার , রাজস্থান , মহারাষ্ট্রতে ।
- কর্মশক্তিঃ উষ্ণায়ন