কফি হল জাদুকরী শক্তিসম্পন্ন একটা জাদু পানীয়। শীতের একটা ঠাণ্ডা দিনে এক কাপ গরম কফি কে না ভালোবাসে! এই গাঢ় রঙের গরম জলে ফোটানো পানীয় স্বাদে তিক্ত এবং সামান্য কিছুটা আম্লিকও (অ্যাসিডিক)। কিন্তু, এক কাপ ধূমায়িত কফি ছাড়া কোনও প্রাতরাশ সম্পূর্ণ হয়না। আপনি হয়তো জেনে চমৎকৃত হবেন যে আনুমানিক 400 বিলিয়ন কাপ কফি সারা পৃথিবী ব্যাপী প্রতিদিন পান করা হয়।
সুরভিত কফি বিন, আমরা এগুলোকে যেমন জানি, আসলে কফি ফলের সেঁকা বীজ। কফির সুগন্ধ এবং স্বাদ কফি বিনগুলি কতটা মাত্রায় সেঁকা হয়েছে তার উপর নির্ভর করে। কফির দুটো সবচেয়ে জনপ্রিয় বৈচিত্র্য হল অ্যারাবিকা এবং রোবাস্টা। যাই হোক, অ্যারাবিক (আরবি) কফি উচ্চতর গুণমানসম্পন্ন হিসাবে বিবেচিত হয় এবং এটা একটা চমৎকার ঘ্রাণ, সুগন্ধ, এবং স্বাদের অধিকারী। কফি বেশির ভাগ সময় গরম অবস্থায় পরিবেশন করা হয়। কিন্ত বরফযুক্ত কফিও একটা জনপ্রিয় পানীয়।
বিশ্বে ব্রাজিল হল কফির বৃহত্তম উৎপাদক। ভারতে, তিনটি বৃহত্তম কফি উৎপাদক রাজ্যগুলির মধ্যে আছে কর্ণাটক, মোট কফি উৎপাদনের 71% অংশ দখল করে, তারপর কেরালা এবং তামিল নাড়ুর স্থান। কর্ণাটকে চিকমাগালুর এবং কোডাগু অঞ্চল কর্ণাটকের কফি উৎপাদনের 80%-এর চেয়ে বেশি উৎপাদন করে।
একটা পানীয় হিসাবে কফির সাফল্য এর মধ্যে বিদ্যমান ক্যাফিন এবং মানব শরীরে এর কর্মশক্তির প্রভাবগুলিতে বেশির ভাগ সময় আরোপিত হয়। অবশ্য, এর কয়েকটি অন্য উপকারিতা আছে। এটা বিষণ্ণতা সারাতে, স্তন ক্যান্সার রোধ করায় সাহায্য করতে পারে এবং যকৃৎ সুরক্ষায়ও সাহায্য করতে পারে। এটা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টগুলির এবং অন্যান্য জৈবিক যৌগগুলির একটা সমৃদ্ধ উৎস যা শরীর সতেজ করতে সাহায্য করে।
কফির বিষয়ে কিছু মৌলিক তথ্য:
- উদ্ভিদবিজ্ঞানসম্মত নাম: কফিয়া
- জাতি: রুবিয়েসি
- প্রচলিত নাম: কফি
- সংস্কৃত নাম: কাফি (Coffee) / পীযূষ (Piyush)
- ব্যবহৃত অংশ: কফি বিন
- দেশীয় অঞ্চল এবং ভৌগোলিক বিস্তৃতি: কফি গাছ ইথিওপিয়ার ক্যাফা অঞ্চল থেকে উদ্ভূত হয়েছে বলে মনে করা হয়। এটা সাহারা মরুভূমির দক্ষিণে বিস্তৃত আফ্রিকা মহাদেশের (সাব-সাহারান আফ্রিকা) ক্রান্তীয় অঞ্চলের দেশজ। হাওয়াই, মেক্সিকো, পোয়ের্টো রিকো, কোস্টা রিকা, কলম্বিয়া, ব্রাজিল, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, ভারত, এবং ইয়েমেন, হচ্ছে কয়েকটি জায়গা যেখানে কফি গাছ চাষ করা হয়।
- কৌতূহল জাগানো তথ্য: তেলের পর কফি হল বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বাধিক প্রচলিত ব্যবসা করা পণ্য।