রিকেটসিয়াল ইনফেকশন কি?
যে সংক্রমণ একটি ব্যাকটেরিয়া গ্রুপের কারণে হয়, যা মানুষের মধ্যে পরজীবি কীটের কামড়ে, মাছি, এঁটেল পোকার মাধ্যমে পরিবাহিত হয়, সেটাই রিকেটসিয়া নামে পরিচিত। যখন মানুষের শরীরে বসবাসকারী উকুন রিকেটসিয়া প্রোয়াজেকি (এপিডেমিক টাইফাস) ছড়ায় তখন মানুষের শরীরে রিকেটসিয়াল রোগের প্রাদুর্ভাব তখন দেখা যায়।
এই রোগে এক ব্যক্তির থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে রোগ ছড়ায় না।
রিকেটসিয়া প্রজাতি যারা মানুষের শরীরে এই রোগ সংক্রমণ (যা খুবই বিরল) করতে সক্ষম, সাধারণত অস্ট্রেলিয়ায় এদের পাওয়া যায়। এদের মধ্যে রয়েছে:
- রিকেটসিয়া টাইফি- মুরিন টাইফাস।
- রিকেটসিয়া অস্ট্রালিস- কুইন্সল্যান্ড টিক টাইফাঁস।
- রিকেটসিয়া হনেই- ফ্লিন্ডারস আইল্যান্ড স্পটেড জ্বর।
- অরিএন্টিয়া শুশুগামুশি- স্ক্রাব টাইফাস।
এর প্রধান লক্ষন এবং উপসর্গগুলি কি কি?
সংক্রমণের লক্ষণ এবং তীব্রতা প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যে ব্যাপকভাবে আলাদা হয়। সাধারণভাবে যে লক্ষণগুলি দেখা যায় সেগুলি হলো:
- সংক্রমণের (কামড়ের স্থান) জায়গায়, একটি ছোট, কঠিন, কালশিটে (এসচার) দেখা যায়।
- কাশি।
- মাথা ব্যথা।
- জ্বর।
- ফুসকুড়ি।
- পেশীতে ব্যথা।
- লসিকা গ্রন্থির ফুলে ওঠা।
খুব কম ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট এবং বিহ্বল হতে দেখা যায়।
এর প্রধান কারণগুলি কি কি?
রিকেটসিয়াল সংক্রমণের প্রধান কারণগুলি হলো:
- টিক এবং মাইট তাদের খাদ্যের জন্য মানুষের উপর নির্ভরশীল, তারা যখন কামড়ায় তখন তাদের লালা থেকে সরাসরি সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
- মাছির ক্ষেত্রে কামড়ের জায়গা মলের দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে।
এটি কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?
যেহেতু রিকেটসিয়াল ইনফেকশন খুবই বিরল, তাই অনেক ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় করা কঠিন হয়ে পড়ে। চিকিৎসক লক্ষণ এবং উপসর্গগুলির একটা সম্পূর্ণ ইতিহাস নেন, যেগুলি তাকে রোগ নির্ণয় করতে সাহায্য করে। চিকিৎসক রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে নিম্নলিখিত পরিক্ষাগুলির পরামর্শ দিতে পারেন:
- রক্ত পরীক্ষা।
- কামড়ের জায়গা থেকে ত্বকের নমুনা সংগ্রহ করে তার বায়োপ্সি।
রিকেটসিয়াল ইনফেকশনের চিকিৎসা পদ্ধতিঃ
- কোন জায়গায় পোকা কামড়েছে (বিশেষ করে কুঁচকি, বগল কানের পিছনে বা হাঁটুতে, মাথার পিছনে) তা দেখার জন্য ভালো করে ত্বক পরীক্ষা করতে হবে যাতে ইনসেক্ট রিপ্যালেন্ট যেমন পিকারিডিন ব্যবহার করে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায় বা শরীর ঢাকা থাকে এমন জামাকাপড় এবং চওড়া টুপি পরতে হবে।
- যেহেতু রোগ প্রতিরোধ করার জন্য কোনও ভ্যাকসিন নেই, সংক্রমণের স্থায়িত্ব এবং প্রবলতা কমাতে টেট্রাসাইক্লিন বা ডক্সিসাইক্লিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিকের পরামর্শ দেওয়া হয়।
- সবার থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা করে রাখতে হবে।