নাকে ব্রণ কি ?
ব্রণ হল একটি ছোট ফুসকুড়ি যা সিবেসাস গ্রন্থি আবদ্ধ হয়ে যাওয়া বা লোমকূপে সংক্রামণের কারণে সৃষ্টি হয়। নাকের ভিতরের ত্বকে অসংখ্য লোমকূপ সারিবদ্ধভাবে থাকার ফলে, ব্রণ হওয়া এমন কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। এটি দৃষ্টিগত হওয়া অস্বস্তিকর নয়, তবে ব্যথাটি সহ্য করা আক্রান্ত ব্যক্তির পক্ষে কিছুটা কষ্টদায়ক হতে পারে।
এর প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলি কি কি ?
ফুসকুড়িগুলি সাধারণত ছোট আকারের হয় এবং এটি নাকের ভিতরে ছোট ফোলাভাব সৃষ্টি করে ও যার থেকে মাঝে মাঝে হালকা ব্যথাও হয় । তবে, যদি ফুসকুড়িটি কিছু তীক্ষ্ন বস্তু দিয়ে খোঁচানো হয় ,তাহলে এটি থেকে ব্রণ হতে পারে ও শেষ পর্যন্ত তা ফোড়ার আকার নিতে পারে। ফোড়া খুব বেদনাদায়ক হয় ও পরে এর থেকে পুঁযের মতো তরল নির্গত হতে পারে। আক্রান্ত অঞ্চলটিতে চুলকানি, লালচেভাব এবং তাপ উৎপাদনের মতো উপসর্গগুলি দেখা দিতে পারে।
এর প্রধান কারণগুলি কি কি ?
নাকে ব্রণ হওয়ার অন্যতম একটি সাধারন কারণ হল সংক্রামিত লোমকূপ, যা লোমফোড়া বা বিষফোঁড়া নামেও পরিচিত। অন্যান্য কারণগুলি হল, প্রদাহদায়ক লোমকূপ বা ফলিকিউলিটিস এবং সেলুলাইটিস এর মতো ত্বকের সংক্রমণ। শরীরের ভিতরের দিকে চুল যদি বাড়তে থাকে তাহলেও ব্রণ হতে পারে।
কিভাবে এটি নির্ণয় করা হয় এবং এর চিকিৎসা কি?
একজন বিশেষজ্ঞ বর্তমান উপসর্গ ও নাসিকাগহ্বর বা নাকের ভিতরটি পরীক্ষা করার পরেই নির্ণয় করতে সক্ষম হন রোগটির। অধিকাংশ ব্রণ কিছুদিন পর, নিজে থেকেই ভালো হয়ে যায়। ব্রণ ভালো হতে 7-10 দিন সময় লাগতে পারে। তবে, যদি স্থানটিতে পুঁয হয়, বা ব্যক্তির শরীরে যদি জ্বর থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। বিশেষত 5 দিন অ্যান্টিবায়োটিক খেতে দেওয়া হয় এক্ষেত্রে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের দ্বারাই এটি ভালো হয় যায় ,তবে,কিছু ক্ষেত্রে পুঁজ বের করতে হয়। চিকিৎসা না হলে সংক্রামিত ফুসকুড়ি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে ও যেহেতু মস্তিষ্কের সাথে কিছু নাকের শিরা যুক্ত তাই, রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা হতে পারে। বার বার নাকে খোঁচানো এড়িয়ে চলা, একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাহায্যে শরীরের লোম তোলা, ব্যথা কমানোর জন্য গরম সেঁক নেওয়া, প্রাথমিকভাবে নাকের ভিতর নারকেল তেল দেওয়া যাতে স্বস্তি বা আরাম পাওয়া যায় প্রভৃতি হল নিজস্ব কিছু যত্ন নেওয়ার উপায়সমূহ।